শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন
আফজাল হোসেন- দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি.
দেশের উত্তর অঞ্চলরের একমাত্র দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন গত বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ৫ দিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে ৩য় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ। এরই মধ্যেই সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় ১নং ইউনিটও বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে এখন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের উত্তর অঞ্চলের ভারী, মাঝারি শিল্পকারখানা গুলো ও বোরো ধান সেচ মৌসুমে উত্তর অঞ্চলের ১৬টি জেলায় বিদ্যুৎ সঙ্কট বিরাজ করছে।
দিনাজপুরের পার্শ্ববর্তী কয়লাখনি উৎপাদিত কয়লাদিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট নির্মাণকৃত ৩টি ইউনিট এর বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রমের মধ্যে ২নং ইউনিট প্রায় ৭ বছর ধরে অকেজ অবস্থা পড়ে রয়েছে। এই ইউনিট থেকে এক সময় ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও উৎপাদন হত মাত্র ৬০-৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সেই ইউনিটিও এখন অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ১নং ও ৩নং ইউনিটি মেরামত করে জোড়াতালি দিয়ে চালু করলেও বছরে কয়েকবার নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যহত হয়। এভাবেই চলছে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।
গত ৬ বছর আগে ৩য় ইউনিটি নির্মাণ করা হয় এবং যার বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াট। উৎপাদনে যাওয়ার পরেও এ পর্যন্ত কতবার যে যান্ত্রিক ত্রুটিতে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছিল তার কোন হিসাব নেই। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৩নং ইউনিট ও ১নং ইউনিট বন্ধ হয়ে যায় এর পরেও গত ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ইং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৩নং ইউনিট ও ১নং ইউনিটর বন্ধ হয়ে যায়।
প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানান, ক্ষতিগ্রস্থ ইউনিটের বয়লার লিকেজ এর কারণে বন্ধ করে দিতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়। ১নং ও ২নং ইউনিট ওভার হোলিং এ কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। যার কারনে ২নং ইউনিটটি ৬ বছর ধরেই বন্ধ রয়েছে। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সব মিলে প্রায় ৪ শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। এদের পিছনে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কোটি কোটি অর্থ ব্যয়। ৩টি ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তর অঞ্চলে কৃষিতে ও শিল্পতে বিদ্যুতের চরম সংকট চলছে।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইউনিট দুটি বন্ধ হয়ে গেছে। মেরামত না করা পর্যন্ত কোনভাবে তা চালু করা সম্ভব নয়। তবে আমরা অতিদ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।